জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সার্জিক্যাল ফ্যাসিস্ট স্ট্রাইক। এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুলোধনা করে তিনি জানান, যাদবপুর বিদ্যালয়ের পরিবেশকেও ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। সোমবার তিনি বলেন, ‘দিল্লি পুলিশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতে নয়। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। একদিকে যখন ওরা বিজেপির গুন্ডাদের পাঠিয়েছিল তাণ্ডব চালাতে তখন পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। পুলিশ কী করবে যদি ওপরতলা থেকে নির্দেশ আসে? এটা তো ফ্যাসিবাদী সার্জিকাল স্ট্রাইক।’
গেরুয়া বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি’র গুন্ডারা ব্যাট, উইকেট, লাঠি, লোহার রড নিয়ে ক্যাম্পাসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ছাত্র সংসদের সভানেত্রী বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন–সহ অনেকে। এই খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে। ক্ষমতায় এলেও সরকারকে সবকিছুই সংবিধান মেনে করতে হয়। আর এরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নষ্ট করছে। এটা সার্জিক্যাল ফ্যাসিস্ট স্ট্রাইক। কেউ বিরোধিতা করলেই পাকিস্তানি তকমা দেওয়া হচ্ছে।
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করায় ছাত্র রাজনীতি তিনি ভালই বোঝেন বলে জানিয়ে মমতার অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ছাত্রছাত্রীদেরই নয় অধ্যাপকদের উপরও অত্যাচার করছে। এটা গণতন্ত্রের উপর বিপজ্জনকভাবে পরিকল্পিত আঘাত। কারও কোনও কথা বলার উপায় নেই। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে পাকিস্তানি বা দেশদ্রোহী বলে আঘাত করা দেওয়া হচ্ছে। এরকম অবস্থা দেশে আগে কখনও দেখিনি। জেএনইউ ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানাতে দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি পাঠিয়েছি।
