রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা এবার রাজ্যসভা পর্যন্ত গড়াল। রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে সংসদের ভেতরে সরব হল তৃণমূল। সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় রাজ্যপালের গতিবিধিতে সাংবিধানিক বেড়ি পরানোর দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি জানিয়েও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে রাজ্যপাল ধনকারের কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা।
‘ভারতীয় রাজনীতিতে রাজ্যসভার ভূমিকা–সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যপালের অফিস নিয়েও রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি তোলেন তিনি। এমনকী পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ‘প্রায় রোজই কিছু না কিছু উদ্ভট মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল।’
ভারতীয় সংসদের এদিন ২৫০তম অধিবেশন ছিল। এই উপলক্ষ্যে এদিন সংসদে সবরকম আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত বলে বিরোধীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা বুঝিয়ে দেন সুখেন্দু শেখর রায়। সুখেন্দুশেখর রায় জানান, রাজ্যপাল যদি রাজনীতি করতে চান, তবে রাজভবনের বাইরে গিয়ে তা করুন। উনি রাজনীতিপাল নন, রাজ্যপাল। বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলছে সাধারণ মানুষ। রাজ্যপাল একটি একটি অরাজনৈতিক পদ। কিন্তু সেই পদকে কেউ কেউ রাজনীতি করার জন্য ব্যবহার করছেন। নিজের কর্মসূচি সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকে। কারও রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তিনি রাজনীতিপাল হোন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যপাল হয়েছেন কেন?
