লিড নিউজ

‘‌ইয়ে লো আজাদি’‌, চলল গুলি

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএমআইইউ–র বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের উপর গুলি চালানোয় অভিযুক্তের নাম রামভক্ত গোপাল শর্মা। ভাইরাল হওয়া ভিডিও–তে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ‘ইয়ে লো আজাদি’ বলতে বলতে গুলি চালাচ্ছেন তিনি। হামলার কয়েক মিনিট আগে পিস্তল উঁচিয়ে লাইভও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন ‘বদলা’ নেওয়ার কথা। তারপরই ভরদুপুরে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাতে বন্দুক, বিক্ষোভকারীদের দিকে তাক করে গুলি ছুঁড়ে তাঁর হুমকি, ‘‌এই নাও তোমাদের স্বাধীনতা।’‌
কালো জ্যাকেট পরা যুবকের এই আচরণে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে রাজঘাটের দিকে পড়ুয়াদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। তখন ওই ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোঁড়ে। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ইয়ে লো আজাদি। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি। তাঁর বয়স ১৯। ফেসবুকে রামভক্ত গোপাল বলে একটি প্রোফাইল চালান তিনি। সেখান থেকেই বারবার হামলার বিষয়ে নানা পোস্ট করা হয়েছিল। বিরোধিতা করা হয়েছিল শাহিনবাগ আন্দোলনের।
রামভক্তের গুলিতে জখম হন শাদাব ফারুখ নামে এক ছাত্র। রামভক্তকে পুলিশ তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করলেও জেএমআইইউ–র ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন ব্যারিকেডের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন তখন পিস্তল হাতে রামভক্তকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। তাকে শান্ত হতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তাকে বাধা দেয়নি। রামভক্তের আগের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট পড়ে পুলিশ জেনেছে, সে ভেবেছিল গুলি চালালে তাকেও মরতে হতে পারে। তাই একটি পোস্টে সে লিখেছিল, তার মৃত্যু হলে যেন তার মরদেহ গেরুয়া কাপড়ে ‘‌জয় শ্রী রাম’‌ স্লোগান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও কট্টর হিন্দুত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শাহিনবাগে সিএএ–এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। অধিকাংশ মুসলিম মহিলারাই ওই বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখিয়ে আসছেন। যা নিয়ে সরগরম রাজনীতি। দিল্লির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মঞ্চে ‘দেশদ্রোহীদের’ গুলি মারার স্লোগান ওঠে। তারপর সত্যিই চলল গুলি।