ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে অনুপ্রবেশকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ সফিনুল ইসলাম। তিনি জানান, অবৈধভাবে কাউকেই কোনওদিনও প্রবেশ করতে দিইনি। ভবিষ্যতেও দেব না। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি)–র পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর চাপে নয়াদিল্লি। কারণ এখান থেকে যাদের তাড়াবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তাদের এখন কী হবে তা ভাবিয়ে তুলেছে।
এদিকে ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই এপার থেকে অনেকেই গুপ্তপথে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন। ডিসেম্বরেই দিল্লি এসে বিজিবি প্রধান জানান, এনআরসি’র পর মোট ৩০০ জনকে ভারত থেকে ফেরার পথে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে বৈধ নথি ছিল না। বিএসএফ ও বিজিবি’র নজর এড়িয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন অনেকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সফিনুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা ১০০১। তার মধ্যে এনআরসি’র পর নভেম্বরে ৩১২ এবং ডিসেম্বরে ১৩৩ জন প্রবেশ করেছিল। এদের বিরুদ্ধে ২৫৩টি মামলা করা হয়েছে। এনআরসি’র কারণে ভারতীয়রা মোটেও এদেশে আসবে না।
