গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কপিল মুনি আশ্রমকে আকর্ষণীয় করতে মন্দিরের ডানদিকে পুকুর খুঁড়ে সুসজ্জিত একটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পুকুরের মাঝে গঙ্গা প্রতিমার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। ্চারপাশে পুণ্যার্থীদের বিশ্রামের জন্য থাকছে চেয়ার। পুকুরের চারপাশে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থাও। গঙ্গাসাগর মেলা চলবে ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি।
এদিকে ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর সফরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর কয়েকটি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬ জানুয়ারি কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। যাবেন গঙ্গাসাগরে। ৭ জানুয়ারি পাথরপ্রতিমা কলেজ মাঠে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর। ৮ জানুয়ারি সব দপ্তরের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ১৫ জানুয়ারি বুধবার, সকাল ৮টা ২৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নানের যোগ। স্নান চলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। মেলার শুরুর আগে থেকেই সাগরতট–সহ মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া মেলা মাঠ ও সাগরতট পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আবেদন জানানো হবে। স্থানীয় গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাগর পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে ৫০০ পুরুষ ও মহিলা সাফাইকর্মী। সাগরতট ও মেলা জুড়ে রাখা থাকবে প্রায় দু’হাজারের বেশি ভ্যাট। নোংরা-আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য এই প্রথম মেলায় ২৮টি ই–রিকশা ব্যবহার করা হবে। বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘সাগরমেলায় আজ যা কিছু উন্নয়ন, সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্ব। গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়াটাই মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য।’
