দীর্ঘ ৬৯ দিন পর অবশেষে খুলল নয়ডা–ফরিদাবাদ রোড। শাহিনবাগ আন্দোলনের কারণে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল এই রাস্তা। সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। দুই আইনজীবীর মধ্যস্থতায় সমাধান হল যানজট সমস্যার। ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে দিল্লির অন্যতম গুরত্বপূর্ণ রাস্তা। নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন মহিলারা। কোলে কয়েক মাসের শিশুকে নিয়ে রাতের পর রাত একইভাবে বসে আছেন একাধিক মহিলা।
শাহিনবাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত মধ্যস্থতাকারী সাধনা রামাচন্দ্রন এবং সঞ্জয় হেগড়ে। আন্দোলনকারীদের যেমন প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, সেরকম নিত্যযাত্রীদেরও রাস্তা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে বলে জানান মধ্যস্থতাকীরা। অন্য কোথাও আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা। তাঁদের পরামর্শ মেনে অবশেষে শুক্রবার সকালে খুলে দেওয়া হল নয়ডা–ফরিদাবাদ রোড।
৪০ মিনিটের জন্য দিল্লির শাহিনবাগের প্রয়োজনীয় রাস্তা খুলে দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে। আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের বলেছি, যাতে বিকল্প কোনও উপায় বের করা যায়। পাশাপাশি তাঁদের প্রতিবাদ করার অধিকারও যেন ক্ষুণ্ন না হয় সেটাও আমাদের দেখতে হবে।’ এই রাস্তা খুলে যাওয়ার ফলে দিল্লি–নয়ডা ফ্লাইওভারের বদলে এই রাস্তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তবে শাহিনবাগের আন্দোলন কিছুমাত্র পিছু হটছে না বলে জানানো হয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশের মুখ হয়ে উঠেছে মূলত মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত শাহিনবাগ আন্দোলন।