জেএনইউ কাণ্ডের ১৭ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ক্রাইমব্রাঞ্চের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলাগাম তাণ্ডব চালানো হয়। এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই ঘটনার পর মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লেফটেন্যামন্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আক্রান্ত পড়ুয়াদের বক্তব্য, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ছিল কার্যত নীরব দর্শক। ঘটনার প্রেক্ষিতে একাধিক অভিযোগ এসেছে বলে জানায় দিল্লি পুলিশ। তার প্রেক্ষিতেই এফআইআর করা হয়েছে। বাম ছাত্র আন্দোলনকে দমাতেই এই হামলা বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে হামলা চালায় মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী। হামলায় রক্ত ঝরে হস্টেলে। মাথা ফাটে স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। হামলায় জখম অধ্যাপক সুচরিতা সেন। এভিবিপি’র বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে হামলার অভিযোগ।
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সকালে তিনি দিল্লির লেফটন্যানট জেনারেল অনিল বাইজালের সঙ্গে কথা বলেন। বাইজালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও রেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকও। উল্লেখ্য, সবরমতী হোস্টেল, মাহি মান্ডভি হোস্টেল ও পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, রড দিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পেটানো হয়। হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাম ছাত্র যুবরা। এসএফআইয়ের অভিযোগ, মাফলার–মুখোশে মুখ ঢেকে এভিবিপি’র গুন্ডারা হোস্টেলে ঢুকে পড়ে। তাদের কারো হাতে ছিল লাঠি, কারো হাতে রড, কারো হাতে আবার হাতুড়ি। যা নিয়ে চলতে থাকে মার।
