এবার ডবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ। আর এই দামে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েই চোখ থেকে জল পড়ছে আমজনতার। ইতিমধ্যেই পেঁয়াজের দামবৃদ্ধি নিয়ে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। বাজারে আগুন লেগে গিয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আর আজ শহরের বাজারে পেঁয়াজের দর ১৬০ টাকা কেজি। বুধবার পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪০ টাকা কেজি। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত মানুষের।
এদিকে বৃহস্পতিবার শহরের বেশিরভাগ বাজারেই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি প্রতি ছুঁয়েছে পেঁয়াজের দাম। বিশেষ করে গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, যোধপুর পার্ক বাজারের বেশ কয়েকজন বিক্রেতা এই দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের চড়া দাম সল্টলেক, রাজারহাটের বিভিন্ন বাজারে। মানিকতলা, হাতিবাগানের মতো উত্তর কলকাতার কিছু বাজারেও সকাল থেকে পেঁয়াজের দাম ১৫০–১৬০ কেজি প্রতি। অন্যদিকে গত দু’দিন বেশ কয়েকটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ১০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করলেও আজ সকাল থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি প্রতি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছেছিল ২১ ট্রাক পেঁয়াজ। বুধবার পাইকারি বাজারে এক বস্তা পেঁয়াজের দাম ছিল ৪ হাজার ৮০০ টাকা। আর বুধবার রাতে কলকাতায় পৌঁছয় মাত্র ১১ ট্রাক পেঁয়াজ। ফলে রাতারাতি জোগানের অভাবে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কার্যত উধাও। কম আমদানির জেরে খোলাবাজারে দামও আকাশছোঁয়া বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ৪০ কেজি পেঁয়াজের বস্তার দাম উঠেছে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ একশো থেকে একশো তেরো টাকা কেজি। তাও পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও রাজ্য সরকার ‘সুফল বাংলা’র দোকানে সস্তার পেঁয়াজ জোগানে নিজেরাই কিনছে ১০২ টাকা কেজি দরে। তবে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৯ টাকা কেজি দরেই।
এই পরিস্থিতিতে মানিকতলা বাজারের পর এবার কাঁকুরগাছি–সহ উত্তর কলকাতার ৫টি বাজারের বিক্রেতারা আপাতত পেঁয়াজ বিক্রি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুফল বাংলা স্টল থেকে সস্তায় পেঁয়াজ নিতে লম্বা লাইন পড়েছে। এই অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির ফলে জনগণের পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে।