হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিয়ালদহ চত্বর। বিনা অনুমতিতে মিছিল করা হচ্ছে এই অভিযোগে বাধা দেয় পুলিশ। আরএসএস কর্মীকে মেটিয়াবুরুজে গুলি করার প্রতিবাদে এই মিছিল করা হচ্ছিল বলে খবর। যদিও মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। মিছিল শুরু করার চেষ্টা হলে বাধা দেয় পুলিশ। পালটা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। তখনই ধুন্ধুমার বাধে পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে।
বুধবার দুপুরে শিয়ালদহের পরে এবার উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় পথ অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। এর পরই পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার দাবি, অনুমতি নিয়েই মিছিল করা হচ্ছিল। পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছে আরএসএস।
উল্লেখ্য, মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগান এলাকায় সোমবার গুলি করা হয় বীরবাহাদুর সিং নামে এক যুবককে। তিনি সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী। এই পরিস্থিতিতে রণকৌশল বদলে শিয়ালদহ স্টেশনের পরিবর্তে এনআরএস হাসপাতাল থেকে মিছিল শুরু করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের বহু সমর্থক। মৌলালি পৌঁছলে সেখানেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখানে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি বাঁধে এনএন ব্যানার্জি রোডের মোড়ে। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ শিয়ালদহের বিভিন্ন গলিতে সংগঠনের সদস্যদের খোঁজে তল্লাসি চালায় পুলিশ। ঘটনায় বেশ কয়েজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চ যে এনআরএসের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেছে সে খবর পৌঁছেছিল কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে। তাই দ্রুত এসএন ব্যানার্জি রোডে ছুটে যান ডিসি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। প্রস্তুতি না থাকায় তাঁর সঙ্গেও বড় বাহিনী ছিল না। কিন্তু ওই ডিসির নির্দেশে পুলিশ লাঠি চালিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের সঙ্গে তখন প্রিজন ভ্যান ছিল না। মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার করে ট্যাক্সিতে তুলে পুলিশ নিয়ে যায় লালবাজারে।
