ব্রেকিং নিউজ

হায়দরাবাদ কাণ্ডে সাসপেন্ড তিন পুলিশ

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসক ধর্ষণকাণ্ডে এবার তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার বিসি সজ্জনার জানান, রিপোর্ট নিতে টালবাহানা করার জন্য একজন এসআই–সহ তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই তিনজন হলেন সাব ইনস্পেকটর এম রবি কুমার, হেড কনস্টেবল পি বেণুগোপাল রেড্ডি এবং এ সত্যনারায়ণ গৌড়। তদন্তে ওই পুলিশকর্মীদের গাফিলতি ধরা পড়েছে। তার পরই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার বিসি সজ্জনার বলেন, ওই রাতে সামসাবাদ থানা নিখোঁজ ডায়েরি নিতেই দেরি করেছিল। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন ওই পুলিসকর্মীরা। বিভাগীয় তদন্তের পর সাব ইন্সপেক্টর এম রবি কুমার, হেড কনস্টেবল পি বেণুগোপাল রেড্ডি এবং এ সত্যনারায়ণ গৌড়কে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে। পশু চিকিৎসকের ওপর এই নিষ্ঠুর অত্যাচারে গোটা দেশ উত্তাল। অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ।
তরুণী চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেছিলেন, মেয়েকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। থানায় থানায় ঘুরতে হয় সাহায্যের আশায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রিপোর্ট লেখে পুলিশ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনা মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। তারই মধ্যে ধর্ষকদের এনকাউন্ডার করে মারা হোক বলে দাবি উঠেছে। কারও আবার দাবি, প্রকাশ্য রাস্তায় শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করা হোক। হায়দরাবাদ ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন থানায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়িতে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানান, দোষীদের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। তরুণীর পরিবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি পুলিশ। উল্টে বলেছে, তরুণী কারও সঙ্গে পালিয়েছে।