দিল্লি হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার গোলমাল সপ্তমে চড়ায়, বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে কংগ্রেসের সাত সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। তাঁরা হলেন গৌরব গগৈ, টিএন প্রতাপন, ডিন কুরিয়াকোসে, রাজমোহন উন্নিথান, বেনি বেহানমন, মণিকম ঠাকুর, গুরজিৎ সিং ঔজলা। গত তিনদিন ধরে এই বিরোধীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন বলে অভিযোগ। অধিবেশন চলবে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
সাতজনকেই বাকি বাজেট অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তখন স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি। বিকেল তিনটে নাগাদ সাসপেনশনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোয় অধিবেশন শুরু হলে চেঁচামেচি করছিলেন ওই সাংসদরা। অধিবেশন চলাকালীনই পোডিয়াম থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেন তাঁরা। তারপরই সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সাতজনের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব আনলে তাতে অনুমোদন দেন স্পিকারের চেয়ারের দায়িত্বে থাকা বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি। তারপরই দিনের মতো অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিন থেকে বিরোধীরা দাবি তোলেন দিল্লির হিংসার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়ে দেন এখনই আলোচনা সম্ভব নয়। হোলির পর আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তা মানতে রাজি ছিলেন না বিরোধীরা। অধিবেশন চলার সময়ই কংগ্রেস সাংসদরা লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ব্যাহত হয় বাজেট অধিবেশনের আলোচনা। অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। অধিবেশন ঠিকঠাক চালানোর জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু অধিবেশনে বিরোধী ও ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে ফের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। সেদিনই অধ্যক্ষ সতর্ক করে বলেন, যাঁরা এবার অধিবেশনের কাজে বাধা দেবেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে।
সংসদের বাইরে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘এটা কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? এটা সরকারের সিদ্ধান্ত, স্পিকারের নয়।’ সরকার এভাবে কংগ্রেসের মনোভাব দুর্বল করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করে অধীর বলেন, ‘আমরা দিল্লি হিংসা নিয়ে একটা আলোচনা চেয়েছিলাম এবং এজন্য টানা আবেদন করেছিলাম। মনে হচ্ছে সরকার দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতেই চায় না। সেজন্যই এই সাসপেনশন। এটা তো স্পিকারের অবগতিতে হওয়া উচিত ছিল। আমরা তো ভিখিরি নই।’
