কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে সাতজন চিকিৎসকের শরীরে কোভিড–১৯ পজিটিভ ধরা পড়ল। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই প্রসূতি বিভাগে এবং একজন মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন। আগেই তিন চিকিৎসকের কোভিড–১৯ টেস্টের পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরও চার চিকিৎসক করোনায়ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এই রিপোর্ট আসার পর রীতিমতো উদ্বেগের পরিবেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার বাসিন্দা, এক কোভিড–১৯ পজিটিভ প্রসূতির সংস্পর্শে আসা তিন জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিসিন বিভাগের এক জুনিয়র ডাক্তারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল রবিবারই। হাসপাতালের পূর্ত বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার–সহ ওই চারজন বেলেঘাটা আইডি–তে ভর্তি। সোমবার নতুন করে আরও চারজন জুনিয়র চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলল।
মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে এক মহিলার করোনা ধরা পড়ার পর ওই বিভাগে কর্মরতদের কোভিড–১৯ পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত সাত চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ এল। তবে ৫৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভও এসেছে। তার মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। হাসপাতালের এমসিএইচ ভবনের দুই রোগী বারাসতের কোভিড–১৯ হাসপাতালে ভর্তি। এনআরএস–এর করোনা–আক্রান্ত নার্সের বাবার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্সের স্বাস্থ্যকর্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা–আক্রান্ত ১৯৮জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন চারজন এবং মারা গিয়েছেন ১২জন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসারদের অভিযোগ, কোভিড–১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্সদের জন্য সরকার নির্দিষ্ট হোটেলের ব্যবস্থা করলেও ওই চিকিৎসকরা নিজেদের হস্টেলেই ছিলেন। তাঁদের কোনও উপসর্গও ছিল না। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর এবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে, কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে থাকার ফলে যেসব চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাভাবিক সময়ের মতো বাড়ি থেকে যাতায়াত করছেন, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সাতদিন টানা কাজের পর সাতদিনের ছুটিতে বাড়িতেই থাকতে হবে।