শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাল বিরোধিরা। লোকসভা কক্ষে সরব হলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। ফারুক আবদুল্লাকে বন্দি করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো বিরোধীরা। ১০৮ দিন বন্দি হয়ে রয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। অথচ আগস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন তাঁকে বন্দি করা হয়নি। এখনই ফারুখ আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া হোক। এটা ওঁর সাংবিধানিক অধিকার। একইসঙ্গে পি চিদম্বরমের মুক্তির দাবিও তুলেছেন অধীর।
সংসদের ভেতরে স্লোগান ওঠে, বিরোধীদের ওপরে হামলা বন্ধ করো, ফারুক আবদুল্লাহকে মুক্তি দাও। আমরা বিচার চাই। রাহুল গান্ধী, গুলাম নবি আজাদদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়েও সুর চড়ান অধীর। এই পদক্ষেপ ভারতের সাংসদের কাছে অপমান বলেও সুর চড়ান কংগ্রেসের লোকসভার নেতা।
অধীরবাবু এদিন বলেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্র সেটাকে আন্তর্জাতিক করে তুলেছে। কেন রাহুল গান্ধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না? অথচ ঘটা করে বিদেশিদের নিয়ে আসা হচ্ছে এখানে।’ এনসিপি–জিএমকে নেতারাও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লার মুক্তির দাবিতে অধিবেশনের শুরু থেকেই সোচ্চার হন। এই দাবিতে লোকসভা ত্যাগ করেন কংগ্রেস–এনসিপি সাংসদরা। এছাড়া সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়েও সরব হন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। অধিবেশন শুরুর আগে কাশ্মীরে প্রসঙ্গে মুলতুবী প্রস্তাব আনে কংগ্রেস।
