'All students of class 11 are promoted.The incomplete exams will be held on the month of June.' Today Mamata declyered.
লিড নিউজ

শয্যা সংখ্যা বাড়ছে, মানুষের পাশে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

করোনার সংক্রমণ রুখতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বেসরকারি হাসপাতালগুলিই নয় বৈঠকে হাজির ছিলেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরাও। পরিস্থিতি মোকাবিলা ঠিক করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কলকাতার বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর ঘোষণা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে থেকে পুলিশ নানান ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় কর্মরত কর্মী পিছু ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বীমা ঘোষণার পাশাপাশিই আগামী দিনে এই মারণ ভাইরাস রুখতে রাজ্য সরকারে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, গবেষণাগারের অধ্যক্ষ, ডিরেক্টর এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‌করোনাভাইরাস মোকাবিলা ১০০ শতাংশ না পারলেও ৯৯ শতাংশ আমরা করবই। এখন ব্যবসা করার সময় নয়, মানবিকতার সময়।’ বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এই মুহূর্তে একজোট হতে আহ্বান করেন তিনি। স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্যের সব চিকিৎসকদের নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব যেন নিজের নেতৃত্বে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের সব সমস্যা এবং পরামর্শ দিতে পারেন।
এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌গুজব ছড়াচ্ছে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অমিল। কিন্তু তা এক্কেবারেই নয়। দোকান চলবে, বাজার খোলা থাকবে, না হলে খাব কী! সীমান্ত সিল হলেও যথেষ্ট পণ্য মজুত রয়েছে।’‌ গুজব ছড়ালে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর কথায়, এটা ব্যবসার সময় নয়, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এখন। অযথা ভয় নয়। আসুন সকলে মিলে লড়াই করি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করলেন, ওই হাসপাতালে কোভিড–১৯ মোকাবিলার জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ করা হচ্ছে। বাঙুর হাসপাতালের নতুন মাল্টি সুপার বিল্ডিং–এ ১৫০টা শয্যা এবং আর জি কর হাসপাতালের নাইট শেল্টারের জন্য তৈরি হওয়া নতুন ভবনেও ৫০টা শয্যা রাখা হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের জন্য। এছাড়া রাজারহাটের ক্যান্সার হাসপাতালে কোভিড–১৯ আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। বাঙুরের মূল হাসপাতালের থেকে মাল্টি সুপার বিল্ডিং–এ ঢোকার জন্য পৃথক গেট ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতায় যেখানে যেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেখানে থাকছেন একজন শিশুরোগ, একজন ফুসফুস, একজন মেডিসিন, একজন ইএনটি ও একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টও থাকবেন। আইসোলেশনের জন্য আলাদা সিসিইউ করা হচ্ছে। সব মেডিক্যাল কলেজে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক করা হচ্ছে। বেলেঘাটা আইডি–তে ১০টা অ্যাম্বুল্যান্স সবসময় প্রস্তুত থাকছে যাতে প্রয়োজনে অন্যান্য হাসপাতালগুলি সেখান থেকে সহায়তা নিতে পারে।