চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুর ম্যাচে চ্যাম্পিয়নরা নাপোলির বিপক্ষে ২-০ গোলের হারে শুরু করে। বুধবার রাতের ম্যাচে অ্যানফিল্ডে সলসবার্গের বিপক্ষে তাই ঘুরে দাঁড়াতে হতো লিভারপুলের। সেভাবেই শুরু করে অল রেডসরা। জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সর্বশেষ আসরের শিরোপাধারীরা। অল রেডসরা যেন এ ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুলস সলসবার্গকে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচের নয় মিনিটের মাথায় সেনেগাল তারকা সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। তাকে গোলে সহায়তা দেন অল রেডসদের নাম্বার নাইন রর্বাতো ফিরমিনো। এরপর ২৫ মিনিটে রবার্টসনের গোলে ২-০ গোলের লিড নেয় স্বাগতিকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩৬ মিনেটে মোহামেদ সালাহ ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন।
এরপরই যেন ঘুম ভাঙে সলসবার্গের। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় তারা। লিভারপুলের জালে গোল দেওয়া যায়, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে অস্ট্রিয়ান ক্লাবটি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে আবার সলসবার্গের শো’। মিনামিনোর গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৩-২ করে ফেলে তারা। লিভারপুলকে জানিয়ে দেয় চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ছোট দল বলে কিছু নেই। প্রমাণ স্বরূপ দুই মিনিট বাদে আবার লিভারপুল গোলরক্ষক আদ্রিয়ানোর গ্লাভস ফাঁকি দেয় বল। কিন্তু অফসাইটে বাতিল হয় গোলটি। যদিও রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক আছে।তবে সলসবার্গ যেন ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। ম্যাচের ৬০ মিনিটে হ্যালান্ডের গোলে সমতায় ফেরে তারা। স্বপ্ন দেখতে থাকে জয় নিয়ে ঘরে ফেরার। কিন্তু মোহামেদ সালাহ সেটা হতে দেননি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.