লিড নিউজ

লালে লাল যাদবপুরে একফোঁটা গেরুয়া রং

তিন বছর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট হলেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে মত দিলেন পড়ুয়ারা। ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ডিএসএফ। কলা বিভাগের নিয়ন্ত্রণ এসএফআইয়ের হাতেই রইল। আর বিজ্ঞান বিভাগে জয়ী হয়েছে অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন উই দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট (ডব্লুটিআই)। হাতেগোনা ভোট পেয়েছে এবিভিপি।
কেন্দ্রীয় প্যানেল জয়ী এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ২০৫৭টি ভোট। ৮৭১টি ভোট পেয়েছে ডিএসএফ। টিএমসিপি পেয়েছে ১৫৩টি ভোট। ৯৬টি ভোট পেয়েছে এবিভিপি। সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ১৯৯৬টি ভোট। ৮৬৫টি ভোট পেয়েছে ডিএসএফ। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআইয়ের প্রাপ্ত ভোট ১৭৭৯। ৮৫৪টি ভোট পেয়েছে ডিএসএফ। ১০ বছর পর এমন ব্যবধানে কলা বিভাগে আধিপত্য কায়েম করল এসএফআই। এসএফআই ছাড়া আর কাউকে ভাবেননি ছাত্রছাত্রীরা। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে যাদবপুর। ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এসএফআই–কে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
এবিভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিএসএফ–এর থেকে পাঁচ থেকে ছ’‌গুণ কম ভোট পেলেও দ্বিতীয় হয়েছে তারা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সভাপতি পদে ডিএসএফ–এর প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩০৪টি ভোট। সেখানে ৫০৮টি ভোট পেয়েছেন এবিভিপি প্রার্থী। আর এসএফআই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ২৮৮। প্রতিটি বিভাগে টিএমসিপি–কে হতাশ করেছেন যাদবপুরের পড়ুয়া ভোটাররা।
বিজ্ঞান বিভাগে লড়াই হয় অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ডব্লুটিআই–এর সঙ্গে সিপিএম প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন এসএফআই–এর। তবে পদাধিকারীদের প্যানেলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ–সাধারণ সম্পাদক এবং সহ–সাধারণ সম্পাদক (ইভিনিং) প্রতিটি পদে এসএফআই–কে টেক্কা দিয়েছে ডব্লুটিআই। সভাপতি পদে ডব্লুটিআই প্রার্থীর পক্ষে যেখানে ১০১৩টি ভোট পড়েছে সেখানে এসএফআই পেয়েছে ২১৬টি ভোট।