লিড নিউজ

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর মুক্ত পণবন্দি শিশুরা

উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে শিশুদের পণবন্দি করার ঘটনায় স্থানীয়দের রোষের বলি হল অপহরণকারীর স্ত্রী। উত্তেজিত জনতা তাকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে খুনি অপহরণকারীকে গুলিতে খতম করে বাহিনী। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পণবন্দি শিশুদের। শেষে রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশের গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর আতঙ্কিত পণবন্দি শিশুদের উদ্ধার করল পুলিশ। মাঝে সময়টা ছিল দমবন্ধ করা পরিস্থিতি।
উৎকণ্ঠার অবসান হয় মধ্যরাতে। ফারুখাবাদে পণবন্দি অন্তত ২০ শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে কমান্ডো বাহিনী। অভিযান চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অপহরণকারী যুবক সুভাষ বাথামের মৃত্যু হয়। রাজ্য পুলিশের আইজি (কানপুর) মোহিত আগরওয়াল খবরটি জানান। রাতেই তাঁর বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খোদ রাজ্যপুলিশের আইজি(কানপুর) উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপরে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। উদ্ধারকাজে রাতেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর একটি দলকে ফারুখাবাদের ওই গ্রামে পাঠানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেলে সাফল্য।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার মহম্মদাবাদে নিজের সন্তানের জন্মদিন পালনের অছিলায় গ্রামের ২০ জন শিশুকে পণবন্দি করে রাখেন সুভাষ বাথাম। পুলিশের হাজার বোঝানোর সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিতে বাগে আনা যায়নি। মাঠে নামাতে হল কানপুর পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী এবং এনএসজি কম্যান্ডোদেরও। শেষে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোর রাতে পণবন্দি শিশুদের উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুদের উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তির স্ত্রীর উপর জনতার রোষ আছড়ে পড়ে। পিটিয়ে মারে উত্তেজিত জনতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুদের পণবন্দি করার যে ছক তাঁর স্বামী কষেছিলেন, ওই মহিলাও তাতে যুক্ত থাকতে পারেন। তাই পুলিশের গুলিতে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন। তাঁকে ছুটে পালাতে দেখেই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। পাথরের ঘায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে মহিলা।