জেলা রাজ্য

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ৫

মাত্র ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ৫ জন। যার খেসারত দিতে হচ্ছে তেহট্টের পরিবারকে। মাসুল দিচ্ছে ৯ মাস, ৬ বছর এবং ১১ বছরের তিনটি শিশু। চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে করোনায় আক্রান্ত হলেন একই পরিবারের ৫ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে রাজ্যে দাঁড়াল ১৫। এদের মধ্যে দু’‌জন মহিলা রয়েছে। যাঁদের বয়স ২৭ এবং ৪৫।
লকডাউনের মধ্যে চমকে দেওয়ার মতো খবর এল। নদিয়ার তেহট্টে আক্রান্ত হলেন একই পরিবারের ৫ জন। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ১৬ মার্চ পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিল ওই পরিবার। এক যুবক লন্ডন থেকে ফিরে অংশ নিয়েছিলেন সেখানে। দিল্লিতেও ওই পরিবারের বাড়ি। ওই যুবকের এক বোন থাকেন সেখানে। তাঁর ১১ বছরের সন্তান রয়েছে। আর এক বোন থাকেন উত্তরাখণ্ডে। তাঁর ৯ মাসের এবং ৬ বছরের দুই শিশুকন্যা রয়েছে।
দিল্লিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন লন্ডন ফেরত ওই যুবক। তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর নমুনা পরীক্ষায় মেলে করোনা ভাইরাস। গোটা পরিবারকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেয় দিল্লির স্বাস্থ্য দপ্তর।
জানা গিয়েছে, সেই নির্দেশের তোয়াক্কাই করেনি তারা। পরিবারের সদস্য ২৭ বছরের তরুণী তা না করে সপরিবারে চলে আসেন নদিয়ায়। ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। সেখানে কাশি শুরু হলে স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় ওই তরুণীকে এবং পরিবারের ১৩ জন সদস্য তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। পরপর পরীক্ষায় শুক্রবার নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিস মেলে রিপোর্টে। এরপরই ২০ জনকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে।
শনিবার কলকাতায় এনে তাঁদের রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট সেকেন্ড ক্যাম্পাসে ভর্তি করানো হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রশাসন অজয় চক্রবর্তী বলেন, দিল্লি থেকে বিষয়টা আমাদের একবার জানানো হলে খুব ভাল হতো। অনেক আগেই বিষয়টা নজরে আনতে পারতাম। এদের আটকে নজরদারি করতে পারতাম। চিকিৎসকরা এই গোটা পরিবারকে কোয়ারান্টিনে থাকতে বলেছিলেন। তাঁরা তা না করে লুকিয়ে কলকাতায় চলে এসে নিজেদের বাড়ি চলে যান। তৃতীয় দফায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা জনসাধারণের মধ্যে সংক্রমণ এখনও হয়নি।