বাংলাদেশ

মোদী বিরোধী অভ্যুত্থান ঢাকায়

দিল্লিতে মুসলিমদের উপর সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করল ইসলামভিত্তিক কিছু দল ও সংগঠন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘স্বীকৃত দাঙ্গাবাজ’ বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। মোদীর হাতে মানুষের রক্ত লেগে আছে মন্তব্য করে নুরুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মোদী এলে ছাত্রসমাজে রক্তের গঙ্গা বয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর মতো একটি অনুষ্ঠানে মোদীকে অংশ নিতে দেব না।’‌
এদিকে, জুম্মার নমাজের পরে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে একটি সমাবেশ শেষে সেখান থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে ঢাকায় আসতে না পারেন। নুরুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনও দলের নেতা নন, সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের নেতা। তিনি বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা। আমরা যে যে–দলই করি না কেন, এ–‌দেশের মানুষের মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অস্বীকার করতে পারি না।’
এই সমাবেশে নরেন্দ্র মোদী বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড বহন করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সানোয়ার হোসেন বিবিসি–কে বলেন, ‘‌আমরা চাই ভারতের মুসলমানরা যাতে সমানভাবে বসবাস করে। তারা যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়। তাই আমরা এই বিক্ষোভ করছি।’‌
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তিনি আসতে সম্মত হয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরি বলেন, ‘‌বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর মতো ঘৃণ্য ব্যক্তিকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়, বুঝি না। এই দেশে মোদীকে আমন্ত্রণ করা মানে শেখ মুজিবকে অপমান করা।’‌