মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আবার নতুন করে বৈঠকে বসলেন রাজ্যপাল। সোমবার বেলা ১১.৩০টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সময় দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকার। মুখ্যমন্ত্রীর এদিন পূর্বনির্ধারিত সময় অনুসারেই রাজভবনে চলে আসেন। সৌজন্যতার খাতিরে রাজ্যপালের জন্য নিয়ে এলেন ফুল–মিষ্টি। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।
বৈঠক শেষে রাজ্যপাল জানালেন, ‘অত্যন্ত সন্তোষজনক’ আলোচনা হয়েছে। তবে কোন কোন বিষয় নিয়ে বৈঠক হল রাজ্যপাল–মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে, রাজভবন বা নবান্ন সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। কিন্তু কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে কয়েকদিন আগেই যেভাবে কঠোর পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল, তার পরে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন, আলোচনা বেশ সদর্থক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে স্বাগত জানাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকারও। বৈঠক শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে রাজভবনের পক্ষ থেকে সে ছবি প্রকাশও করা হয়। রাজ্যপাল নিজেও ছবি টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ঘণ্টা ধরে অত্যন্ত সন্তোষজনক আলোচনা হল।’
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপালের ঢুকতে না পারা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও কোনও শীর্ষকর্তার দেখা না পাওয়া, ঘেরাও এবং বিক্ষোভের কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও যোগ দিতে না পারা— একের পর এক ঘটনায় আরও ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
