পৃথিবীর বাইরে বসেই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়লেন এক মহাকাশচারী। মহাকাশেও অপরাধ ঘটিয়ে ফেলেছে প্রাণীজগতের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাধারী এই জীবটি। এমনটাই দাবি করছে নাসা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অভিযান করতে গিয়ে নিজের সঙ্গীনীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন মহাকাশচারী। সেই কথা তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি।
অ্যান ম্যাকেইন নামে এক সমকামী মহাকাশচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস–এ ৬ মাস থাকার সময় তিনি নিজের পরিচয় লুকিয়েছেন এবং বর্তমানে আলাদা থাকা স্ত্রী সামার ওয়র্ডেনের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ফেডেরাল ট্রেড কমিশনের কাছে করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়াই মহাকাশে বসে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গিনী অ্যানে। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নাসার অফিস অফ ইন্সপেক্টর জেনারেলে সামারের পরিবার অ্যানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে। অ্যানের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল কোনও অন্যায় কাজ করেননি। কারণ দু’জনের যৌথ আর্থিক তথ্য খতিয়ে দেখতেই অ্যান আইএসএস–এ থাকাকালীন সামারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। এমনকী দুজনের সম্পর্ক থাকার সময়ও বহুবার এই কাজ করতেন তাঁরা বলে দাবি করেছেন অ্যানের আইনজীবী। অ্যানের বিরুদ্ধে নালিশ জমা পড়েছে নাসাতেও। সামারের পরিবারের এক সদস্যও অভিযোগ জানিয়েছেন অ্যানের বিরুদ্ধে।
দুই মহিলার সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগও করেছে নাসা। তবে সামারের অভিযোগ এখনও পর্যন্ত এফটিসি কোনও পদক্ষেপ করেনি। এই বছর জুনেই আইএসএস থেকে পৃথিবীতে ফেরেন অ্যান। সঙ্গিনী অ্যানে মহাকাশে যেতে পারেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় পিছিয়ে নেই সামারও। মার্কিন বায়ুসেনার গোয়েন্দা ছিলেন তিনি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিকতা নজরে আসার পরেই নিজেই তদন্ত শুরু করে দেন সামার। তখনই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। নাসার বিশেষ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সামারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করেছিলেন অ্যানে। পুরোটাই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বসে। মহাকাশে এর আগে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেনি।