ব্রেকিং নিউজ

মধ্যরাতে চাঁদে পা চন্দ্রযানের

ফের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা দেশ। ২২ জুলাই, ২০১৯ সকালে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল চন্দ্রযান–২। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার রাত ১টা থেকে অবতরণ শুরু হবে চন্দ্রযানের। ইসরো জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১:৫৫ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ভারতের এই চন্দ্রযান। দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে ‘টাচ ডাউন’ আর শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ল্যান্ডার বিক্রমের ভেতর থেকে বেরোনোর কথা রোভার প্রজ্ঞানের।
চাঁদে পৌঁছে চন্দ্রযান–২, প্রথম কাজ কী হবে? ইসরো সূত্রে খবর, রোভার ‘‌প্রজ্ঞান’‌ সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছ-টার মধ্যে চাঁদের ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে। তারপরই শুরু হবে চাঁদের উৎস নিয়ে গবেষণা। উপগ্রহে জলের উপস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ছবি তুলে গবেষণা শুরু করবে ‘‌প্রজ্ঞান’‌। ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান চন্দ্রায়ণের দাবি, এই অভিযান এখনও পর্যন্ত ‘‌ইসরোর সবচেয়ে জটিল মিশন’‌। এটা অনেকটা একটা সদ্যোজাত শিশুকে নিজের কোলে নেওয়ার মতো। ছোট্ট বাচ্চাটা হাত–পা ছুঁড়বে, এদিক–ওদিক সরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের তাকে ঠিক করে ধরে রাখতে হবে। ল্যান্ডারকেও ঠিক সেরকমই অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ঠিক ভাবে চালনা করতে হবে।
ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সূত্রের খবর, স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে তিনি ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সরাসরি দেখবেন সেই অবতরণ। এছাড়া অনলাইনে মহাকাশ সংক্রান্ত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় পাশ করে আসা গোটা দেশের মোট ৬০ জন ছাত্রছাত্রীও উপস্থিত থাকবে। জানা গিয়েছে, চাঁদের যে অংশে ল্যান্ডার ‘‌বিক্রম’‌ পা রাখবে, সেখানে আজ পর্যন্ত কেউ পা রাখেনি। এখনও পর্যন্ত চাঁদের উত্তর মেরু বা গোলার্ধ এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলেই হয়েছে সমস্ত অভিযান। ভারতই প্রথম উপগ্রহের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে চলেছে। আগে চীন থেকে পাঠানো এক মহাকাশ যান চাঁদের উত্তরের অংশে অবতরণ করেছিল। পরে রাশিয়ার লুনা মিশন। চীন বর্তমানে চাঁদের অন্ধকার দিকে একটি রোভার অবতরণ করিয়েছে। চন্দ্রযান–২ সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারতের নামও যুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে ভারতই হবে চতুর্থ দেশ।