ফের রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত। মঙ্গলবার টানাপোড়েনের জেরে ফের ভেস্তে গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের ধামাখালি বৈঠক। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া বৈঠকে কোনও আমলাকেই আমন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। এমন কী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি নিজেও। যাঁদের নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল, সেই প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রায় কেউই বৈঠকে আসেননি। ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়।
প্রশাসনিক কর্তারা না আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। পরিস্থিতিকে সাংবিধানিক সংকট বলেও বর্ণনা করেন জগদীপ ধনকার। এদিনের ঘটনায় তাঁর প্রশ্ন, ‘রাজ্যপাল কি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ? রাজ্যপাল কথা বলতে চাইলে সরকারের অনুমতি লাগবে কেন? রাজ্যপাল হিসেবে যেখানে খুশি যেতে পারি। কিন্তু যেখানেই যাব সেখানেই জেলাশাসক অসুস্থ হচ্ছেন। মন্ত্রীদের বয়কটের সঙ্গে আমলারাও যুক্ত হচ্ছেন কেন?’
রাজ্যপাল উষ্মাপ্রকাশ করে জানান, তাঁকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে ২১–২৩ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক সেখানেই রয়েছেন। ফলে তাঁরা আসতে পারবেন না। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ সজনেখালিতেও একটি প্রশাসনিক বৈঠকের কথা রয়েছে রাজ্যপালের। কিন্তু সেখানেও যদি প্রশাসনিক কর্তারা হাজির না হন, সেটাও ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শিলিগুলিতে রাজ্যপালের বৈঠকে রাজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো হলেও জেলাশাসক, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের কেউই সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এবারের বৈঠকে কাউকে আমন্ত্রণই করল না জেলা প্রশাসন। কাজেই ফের আরও স্পষ্ট হল সংঘাত।
