বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস (বিবিএফএ)’-এর আসর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী মিলনায়তনে শুরু হয় দুই বাংলার চলচ্চিত্রের এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এ পুরস্কার অনুষ্ঠানটি নিবেদন করেছে টিএম ফিল্মস। দুই বাংলার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের এ মহাসম্মেলনের মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি জানানো হয়।
সেরা চলচ্চিত্রে পুরস্কার পেয়েছে ভারতের ‘নগর কীর্তন’ও বাংলাদেশের ‘দেবী’। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার পেল ভারতের বোমকেশ গোত্র ও বাংলাদেশের পাসওয়ার্ড ।
জনপ্রিয় নায়িকা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও বাংলাদেশের জয়া আহসান। সেরা প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান ও ভারতের পাওলি দাম।
সিনেমার প্রধান চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন বাংলাদেশের সিয়াম ও ভারতের প্রসেনজিৎ। পপুলার অ্যাকটর অব দ্য ইয়ার ভারতের জিৎ ও বাংলাদেশের শাকিব খান। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন বাংলাদেশের নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও ভারতের সৃজিত মুখার্জি।
অনুষ্ঠানে সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার পুরস্কারে ভূষিত হন ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের ফেরারী ফরহাদ। সেরা সিনেমাটোগ্রাফারের পুরস্কার পান বাংলাদেশের কামরুল হাসান খসরু ও ভারতের সৃজিত মুখার্জি। ভিডিও এডিটর হিসেবে ভারতের সংলাপ ভৌমিক ও বাংলাদেশের তৌহিদ হোসেন চৌধুরী পুরস্কার পান। সেরা মিউজিক ডিরেক্টর বাংলাদেশের হৃদয় খান ও ভারতের বিক্রম ঘোষ। সেরা প্লে-ব্যাক গায়ক (পুরুষ) ইমরান ও ভারতের অনির্বান ভট্টাচার্য। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা ভারতের নিকিতা নন্দী ও বাংলাদেশের যৌথভাবে সোমনুর মনির কোনাল ও ফাতেমাতুজ জোহরা ঐশী।
সেরা পার্শ্ব চরিত্রাভিনেতা বাংলাদেশের ইমন ও ভারতের অর্জুন চক্রবর্তী। সেরা পার্শ্ব চরিত্র অভিনেত্রী বাংলাদেশের জাকিয়া বারী মম ও ভারতে সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এছাড়া বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ভারতের রুদ্র নীল রায় ঘোষ, আবীর চ্যাটার্জি ও নবনী এবং বাংলাদেশের তাসকিন রহমান ও বিদ্যা সিনহা মীম।
চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক এবং বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন যথাক্রমে গৌতম ঘোষ ও প্রসেনজিৎ।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ভারতের জি-বাংলা ও বাংলাদেশের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে এটিএন বাংলা ও গানবাংলা টেলিভিশন। ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ওয়ান মোর জিরো। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মীর আফসার আলী ও গার্গি রায় চৌধুরী।
রনজিৎ মল্লিক ও প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে জিৎ, আবির চ্যাটার্জি, পরমব্রত,ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,পাওলি দাম, নিকিতা গান্ধি, অনির্বান, কৌশিক গাঙ্গুলি, দেবজ্যোতি মিশ্র, ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্তসহ ওপার বাংলার জয়া আহসান, পরীমনি, পূজা চেরি, নুসরাত ফারিয়া, বিদ্যা সিনহা মীম, মৌসুমী, ওমর সানী, ইমন, নীরব প্রচুর তারকা উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনে।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ফেরদাউসুল হাসান ও বিবিএফএ এর সমন্বয়ক তপন রায়, নির্মাতা গৌতম ঘোষ, পর্যটক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, টিএম ফিল্মসের চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী।