দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক কর্নাটকবাসীর। কালবুর্গি জেলার ৭৬ বছরের এই বৃদ্ধ ২৯ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। উত্তর কর্নাটকের কালবুর্গি জেলার ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এই খবর দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামালু। মহম্মদ হুসেন সিদ্দিকি নামে ওই ব্যক্তি মাসখানেক থাকার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে ফেরেন। তাঁকে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে স্ক্রিন করা হয়েছিল। তখন কোনও উপসর্গ মেলেনি।
৫ মার্চ এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনার যাবতীয় উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। কিন্তু তিনদিন পর বাড়ির লোকেরা তাঁকে নিয়ে চলে যায়। সেখানেই রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্দিকি হাঁপানির রোগী ছিলেন। তাছাড়া ছিল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
ভারতের মাটিতে এটি প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। সিদ্দিকির চিকিৎসার বিশদ বিবরণ দেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) জাউইদ আখতার। তিনি জানান, ৫ মার্চ জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোরে তাঁকে দেখানো হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছাড়াও জ্বর–কাশি ছিল। ৯ মার্চ তাঁকে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কালবুর্গির হাসপাতাল তাঁর রোগকে ‘মিড জোন ভাইরাল নিউমোনিয়া’ বলে চিহ্নিত করে এবং তাঁকে ‘সন্দেহভাজন কোভিড-১৯’ বলে ধরা হয়। ৫৭৫ কিমি দুরের কালবুর্গি আসার পথে রাতেই তিনি মারা যান। পরে সিদ্দিকির শরীর থেকে নেওয়া নমুনায় নোভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এদেশে মোট ৭৪টি আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হরিয়ানার পরে দিল্লি সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণকে মহামারি ঘোষণা করেছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর সব স্কুল, কলেজ এবং সিনেমা হল বন্ধ থাকবে।
