অর্থনীতি দেশ

ভারতের অর্থনীতির কড়া সমালোচনা গীতার

ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়ায় তা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেনে নামাবে আরও ‘০.১’ শতাংশ নীচে। বিশ্বের জিডিপি–তে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতির যা অবস্থান, তাহলে যদি আমরা ভারতের দিকে তাকাই, দেখব, তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারতের বৃদ্ধি নীচে নেমেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে। তাই আমরা বিশ্বের বৃদ্ধি ২০১৯ সালে এক শতাংশ নামিয়ে এনেছি। আর এটা পুরোটাই ভারতের ঘাটতির কারণ। ‌প্রাথমিকভাবে ভারতের মতো উন্নয়ন‌শীল দেশগুলির অর্থনৈতিক মন্দা প্রতিফলিত হচ্ছে এই নিম্নগামী বৃদ্ধিতে। গোটা বিষয়টি স্বচ্ছ পর্যবেক্ষণ করে মন্তব্য করেছেন আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিশেষ সাক্ষাৎকারে গীতা বলেন, ‘ভারতের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বক্তব্য নেই। বিষয়টির গতিবিধির উপর নজর রাখা হবে। এপ্রিলে আমাদের পরবর্তী পর্যালোচনায় তা কোথায় দাঁড়ায়, সেটাও দেখব।’ যেহেতু আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার সমালোচনা করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন বিনিয়োগ টানার। সেহেতু এবার বিজেপি’‌র নেতামন্ত্রীদের অপমান এবং বাক্যবাণের নিশানায় থাকবেন তিনিই বলে মনে করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
তিনি বিশ্বের অগ্রগতির ক্ষেত্রে সামাজিক সহাবস্থানের গুরুত্বেরও উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যই সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের স্বার্থরক্ষা করাটা খুবই জরুরি। যাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা পেছনের সারিতে চলে না যায়। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘ভারতের প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। দেশের জন্য বাধ্য হয়েই বিনিয়োগে উৎসাহ জোগানো উচিত। ভারতে ঘরোয়া বিনিয়োগকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আমার মনে হয় আরও বড় বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে মূলধন বাড়ে এবং ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হয়।’‌