ড্যামেজ কী কন্ট্রোল হয়ে গিয়েছে? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ প্রশান্ত কিশোরের দপ্তর মা–মাটি–মানুষের সরকারের হাল–হকিকত নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটা জায়গায় ভরাডুবি হয়েছিল জোড়াফুল শিবিরের। তাদের ১৮টি আসন কেড়ে নিয়েছিল পদ্মফুল শিবির। সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই নিয়ে আসা হয় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক–কে। তারা নানা সমীক্ষা করে পদক্ষেপ করা শুরু করে।
রাজ্যজুড়ে শুরু হয় পিকে’র মস্তিষ্কপ্রসূত দিদিকে বলো কর্মসূচি। প্রথমে বিধায়কদের টাস্ক দেওয়া হয়। তারপর কাউন্সিলার থেকে ব্লক স্তরের নেতাদেরও টাস্ক দেওয়া হয়। এখন প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। মেরামতি সম্ভব হয়েছে অনেকটাই। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ১০টি কেন্দ্র রয়েছে। এই ১০টির মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে মেরামতি সম্ভব হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় তৃণমূলের হারানো জমি অনেকটা পুনঃরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
তাহলে কী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফের মমতার সরকার? এখনই তা বলতে রাজি নয় পিকে’র রিপোর্ট। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর। এই রিপোর্টের পর বেশ খানিকটা স্বস্তিতে শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।