বেতন নিয়ে বচসার জেরে চিকিত্সকের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের খাসবাগান এলাকার তুলা লেনে। মৃত মহিলার নাম মৌসুমী নাগ(৬২)। তাঁর স্বামী সুব্রত নাগ পেশায় চিকিৎসক। তিনিও গুরুতর জখম। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে।সস্ত্রীক চিকিত্সককে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল চালকের। পড়শিরা তাকে ধরে ফেলে। মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে মৌসুমী নাগের কাছে বেতন দাবি করেন গাড়ির চালক তপন দাস। মৌসুমী তাকে জানান, এখন মাসের শেষ। ১ তারিখে তার সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে। ওই কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠে তপন। তার দাবি, আজই বকেয়া বেতন দিতে হবে তাকে। মৌসুমী তাকে সুব্রত নাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সুব্রতবাবুর কাছে গেলেও একই কথা শুনতে হয় তাকে। তখনই স্ত্রী মৌসুমীকে লাঠি দিয়ে তপন বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই চিকিত্সক দম্পতি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৌসুমীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান শহরের তুলা লেন এলাকায় স্ত্রী মৌসুমীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন। প্রায় ২০ বছর ধরে চিকিত্সক সুব্রত নাগের বাড়িতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছিল তপন দাস। কিন্তু চিকিত্সক যে বেতন দিচ্ছিলেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না তপন। সেই নিয়েই বচসা। ওই চালককে গ্রেপ্তার করে জেরা করা হলে ধৃতের স্বীকারোক্তি, বেতন নিয়ে অশান্তির জেরেই তার মাথায় খুন চেপে যায়।