জেলে থাকা বন্দিরাও মানুষ। তাদেরও হতে পারে করোনাভাইরাস। তাই বন্দিদের দ্রুত জামিনে দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। করোনার কারণে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মামলাতে নতুন করে উল্লেখ করা হয় মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে। জেলে প্রচুর আসামি বাড়ছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়। ফলে একসঙ্গে এত বন্দি থাকলে তা থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাস। এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বিকল্প রাস্তা বের করার কথা বলা হয়।
এজি চিঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান। দ্রুত জামিন দেওয়ার জন্য নিম্ন আদালতেও নির্দেশ যায়। তার মধ্যেই দমদমে ঘটে গেল বিপত্তি। বন্দি এবং জেলকর্মীদের হাতাহাতি ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দমদম সংশোধনাগার। সেখানেও প্রাণের ভয় কাজ করেছে পুরোদমে। জেল থেকে পালানোর চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়। যাইহোক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সুপ্রিম কোর্ট একই ধরনের মামলাতে দেশের প্রতিটি হাইকোর্টকে একটি বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিব, ডিজি কারা, চেয়ারম্যান স্টেট লিগ্যাল নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেন। বন্দিদের কীভাবে জামিন ও প্যারোল দেওয়া যায় তা দেখবে কমিটি। ৩১ মার্চ সেই রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি।