আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর জেল হেফাজত নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ককে। এদিন আদালতে ঢোকার মুখেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ধৃত আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তুললেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। নওশাদ আরও বলেন, “শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে। তাই এই গ্রেফতার। তবে গরীব মানুষের এই লড়াই চলবে।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।সিদ্দিকী যা করছেন ভালো করছেন মানুষ তার পাশে আছে। আমার ওপর কোনো চাপ নেই। বাংলার জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে নওশাদ। জুম্মার নামাজ আদায় করে বেরিয়ে এরকমই মন্তব্য করেন আই এস এফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। আব্বাসের দাবি দেশে আইন আছে গণতন্ত্র আছে, আইন গণতন্ত্রের উপর আস্থা রাখতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি নওশাদ সিদ্দিকীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার নওশাদের ফের পুলিশ হেফাজতের আরজি জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নওশাদকে তোলা হয় বারুইপুর আদালতে। কোর্টে প্রবেশের সময় বিধায়ক দাবি করেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণেই পরিকল্পনা করে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁকে। আদালতেও নওশাদ দাবি করেন, তাঁকে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে। শুনানি শেষে আইএসএফ বিধায়ককে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থক।