ফের জঙ্গি হামলা জম্মু–কাশ্মীরে। রবিবার শ্রীনগরের লালচকের প্রতাপ পার্কে সিআরপিএফ–এর সি/১৭১ ব্যাটেলিয়নের উপর গ্রেনেড ছুঁড়ে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। জখম হন দু’জন সিআরপিএফ জওয়ান এবং দু’জন সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, এদিন লালচকে গ্রেনেড ছোঁড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। আচমকা হামলায় আক্রান্ত হন পথচারীরা। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়েও যায় তারা।
প্রতি সপ্তাহের মতোই শহরের প্রাণকেন্দ্র প্রতাপ পার্কের রবিবারের বাজার ছিল ভিড়ে ঠাসা। হামলা হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন। তাঁদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শ্রীনগরের আইজি সিআরপিএফ আর এস সাহির মতে, রবিবারের ব্যস্ত বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ জিইয়ে রাখতে চাইছে জঙ্গিরা। এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুরো এলাকা খালি করে ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দেবিন্দর সিংয়ের গ্রেপ্তারির পর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটল কাশ্মীরে। কাশ্মীরের দুই শীর্ষ জৈশ জঙ্গির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় ডিএসপি দেবিন্দর সিংকে। আবার পুলওয়ামা জেলার করিমাবাদ গ্রাম থেকে জৈশের শীর্ষ কমান্ডার জাহিদ শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ভাই শোয়েব মনজুরকে গ্রেপ্তার করল জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি দেবিন্দর সিংয়ের বাড়ি, অফিস সহ তাঁর পরিচিত উপত্যকার সব কটি স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ এবং জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের অফিসাররা। তল্লাশি চলছে দেবিন্দরের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া নাভিদবাবু, ইরফান মির এবং রফি আহমেদের বাড়ি এবং তাদের পরিচিত স্থানগুলিতেও। তবে রবিবারই এনসি–র তিন নেতা আবদুল মজিদ লারমি, গুলাম নবি ভাট এবং মহম্মদ শফিকে মুক্তি দিল জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসন।
