বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সিপিআইয়ের প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সকাল ৬টা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মতো সাংসদ সংসদে আজও বিরল। তাঁর বক্তব্য অন্যান্য দলের নেতা–মন্ত্রীরাও মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতেন। তাঁর কন্ঠস্বরে কেঁপে উঠত সংসদ ভবন। ‘অনারেবল স্পিকার’ কিংবা ‘ম্যাডাম স্পিকার’ শব্দটা যখন তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসত তখন সংসদ ভবন যেন পিন পড়ার নীরবতা অনুভব করত। গুরুদাস দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। বাবার নাম ছিল দুর্গাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত এবং মায়ের নাম ছিল নীহার দেবী। ১৯৬৫ সালে জয়শ্রী দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা। সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিআইসি’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০০১ সালে। ২০০৪ সালে ১৪তম লোকসভায় পাঁশকুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৫তম লোকসভায় ঘাটাল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি পাঁচবারের সাংসদ নির্বাচিত হন।
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। চলতি বছরের আগস্টে চেতলার বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। জানা গিয়েছিল মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। অবশেষে তিনি চলে গেলেন।
