ব্রেকিং নিউজ

প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী

প্রয়াত হলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। পশ্চিমবঙ্গের বাম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন রাজ্যের একাধিক দপ্তরের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তিনি পূর্তমন্ত্রী হিসাবে বেশি পরিচিত ছিলেন। এমনকী আরএসপি’‌র রাজ্য সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে টুইট করে তিনি লেখেন, ‘‌রাজ্যের প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি ৭৬ বছর বয়সে চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যু রাজনৈতিক জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি ক্ষিতি গোস্বামীর পরিবার–পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’‌
পরিবার সূত্রে খবর, গলার সমস্যা নিয়ে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন আরএসপি’‌র রাজ্য সম্পাদক। রাতে বুকের সমস্যা হচ্ছিল বলে স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও হয় তাঁর। তারপর মোটামুটি ভালই ছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। শনিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রয়াত ক্ষিতি গোস্বামীর মরদেহ আজই আনা হবে কলকাতায় বলে খবর।
সম্প্রতি কংগ্রেসের সঙ্গে বাম জোটের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। কিছুদিন ধরে গলার সমস্যায় ভুগছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ক্ষিতি গোস্বামীর। দলের রাজ্য দপ্তরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ক্ষিতি গোস্বামীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বাংলার রাজ্য সম্পাদকের পাশাপাশি আরএসপি’‌র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী। শেষ বাম সরকারের পূর্তমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা পিস হেভেনে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সোমবার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দলের কার্যালয় এবং আলিমুদ্দিন স্টিটে নিয়ে যাওয়া হবে। দলীয় সূত্রে খবর, ১৯৯১ সাল থেকে ঢাকুরিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী। ২০০১ সালে ওই কেন্দ্রেই তৃণমূলের সৌগত রায়ের কাছে হেরে যান। ২০০৬ সালে ফের জেতেন তিনি। দীর্ঘদিন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ক্ষিতি গোস্বামী। ২০১১ সালে ডিলিমিটেশনের পর ঢাকুরিয়া কেন্দ্র অবলুপ্ত হলে আর ভোটে দাঁড়াননি তিনি। তবে ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবেও সুনাম ছিল প্রয়াত এই বাম নেতার। ইস্টবেঙ্গলের আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি। খেলা দেখতে মাঠে যেতেন নিয়মিত।‌