জেলা রাজ্য

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্তে পর্ষদ

টিকটকে ফাঁস প্রশ্নপত্র? টিকটক করে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল মালদায়। বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে পর্ষদ। মালদার রতুয়ার সামসিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করে বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বাকি পরীক্ষার দিনগুলিতে কী হবে তা নিয়ে এখন আশঙ্কায় পর্ষদ আধিকারিকরা।
অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই বর্ষা নামে একটি টিকটক প্রোফাইল থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্নপত্র। সূত্রের খবর, সেই টিকটক ভিডিও দেখে একজনকে আটক করে পুলিশ। যদিও পরে দেখা যায়, ভিডিওটি ৫ দিন আগে টিকটক প্রোফাইলটিতে আপলোড করা। অন্যদিকে, বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর মোবাইল নিয়ে যাওয়া ও পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নপত্র পাচারের অভিযোগে শেখ ওসমান বলে একজনের পরীক্ষা বাতিল করেছেন স্কুল শিক্ষক।
পর্ষদ সূত্রে খবর, বাংলা প্রশ্নপত্রের যে দু’টি পাতা সোশাল সাইটগুলোতে ঘুরছিল, পরে তা মিলেও যায়। পরীক্ষাকেন্দ্রের বেঞ্চে পরীক্ষার্থীদের নাম, রোল নম্বর–সহ যেকাগজ সাঁটা থাকে, তার কিছুটা অংশ দেখা গিয়েছে ছবিতে। তা খতিয়ে দেখে দোষীকে খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও প্রশ্নফাঁস নিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারের বদনাম করতে এসব করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনও মালদায় টোকাটুকির ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাঁচিল টপকে দেওয়াল বেয়ে উঠে জানলা দিয়ে উত্তরপত্র সরবরাহ করতে দেখা যায় ভালুকা হাইস্কুলে। পরীক্ষা শুরুর দিন বাংলার প্রশ্নপত্রের দু’টি পাতা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ার পর, বুধবার পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূ্ত্রে খবর। বাংলার প্রশ্নপত্র কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ল, শুরু হয়েছে তার তদন্তও।