সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় একটি খাবার ডিম। ভাজা, সিদ্ধ, রান্না যাই হোক না কেন পুষ্টি গুণে এটি অনন্য একটি খাবার। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় এটি শরীরের বৃদ্ধি ও শক্তি বাড়ানোর জন্য উপকারী। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ পদার্থ, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, বি-সিক্স এবং বি-টুয়েলভ থাকায় এটি শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে।
বাড়ন্ত শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া যেমন জরুরি তেমনি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য ডিম খুবই গুরত্বপূর্ণ। তবে,বিভিন্ন গুণের পাশাপাশি ডিমের কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। অনেকেই দিনে একাধিক ডিম খান। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত ডিম খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাদের মতে, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন একটি করে ডিম খেতে পারেন। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেক ক্রীড়াবিদের বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সেই জন্য তারা একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম খেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাদের ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
বড়দের ক্ষেত্রে রোজ ডিম খাওয়ায় বিধি নিষেধ থাকলেও শিশুদের জন্য সে বিষয়ে ছাড় দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, শিশুদের প্রতিদিন ডিম খাওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ডিম খেলে শিশুদের প্রোটিন ও ফ্যাটের চাহিদা পূরণ হবে। সেই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যাবে ডিম থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা অতিরিক্ত ওজন বা হৃদরোগের সমস্যায় ভূগছেন তাদের ডিম এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন তারা। তেলে ভাজার চেয়ে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।