রাজ্য

পুলিশ–জনতা খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র বাঙুর

জনতার হাতে ফের আক্রান্ত হল পুলিশ। ছিঁড়ে নেওয়া হল পুলিশকর্মীর জামা। চলল বেধড়ক মারধর। রবিবাসরীয় বিকেলে এম আর বাঙুর হাসপাতালে এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগরী। এম আর বাঙুর হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেল পুলিশ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিভিশনাল রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন যাদবপুর থানার পুলিশ কর্তারা। হাসপাতাল চত্বরে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করা হয় রোগীর মারমুখী আত্মীয়দের। এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে দু’জনকে।
জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে গত তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন নিউ আলিপুরের তিন যুবক। রবিবার পরিবারের লোকজন তাঁদের দেখতে গেলে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। তখনই দু’‌পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার জেরে টালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
রোগীর আত্মীয়দের দাবি, রবিবার হাসপাতাল থেকে ওই তিন যুবককে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। ফলে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই যুবকদের বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতালে পৌঁছন রোগীর আত্মীয়রা। তিন রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে আত্মীয়রা হাসপাতালে ঢুকলে বাধা দেন হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা। দুর্ব্যবহার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এক প্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই আত্মীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে পৌঁছন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। তখনকার মতো গণ্ডগোল মিটে যায়।
সমস্যা মিটে গিয়েছে মনে হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। ঢুকতে না পেয়ে কিছু পরেই নিউ আলিপুর থেকে ২৫–৩০ জন যুবক হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাঁদের জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় নিরাপত্তারক্ষীদেরও। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। করতে হয় লাঠিচার্জ। এই ঘটনায় দু’‌জনকে আটক করা হয়েছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।