লকডাউনের শুরু থেকেই দেশের অভ্যন্তরে যে সমস্যা সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হল পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা। আর তার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল একাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে। পেটের দায়ে যারা কাজ করতে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল। তারপরই শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে তোলপাড়। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চালু করতে হয় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। আর এই পরিস্থিতির পর শনিবার কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি আরও একটু আগে উদ্যোগ নিলে সহজেই মেটানো যেত পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা বলে জানিয়ে দিলেন নীতি আয়োগ কমিটির সিইও অমিতাভ কান্ত।
যে ছবিগুলি দেখা গিয়েছিল—কোথাও কোলে শিশু, কোথাও গর্ভবতী মহিলা, কোথাও অশক্ত বাবাকে সাইকেলে বসিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি। ট্রেনে কাটা পড়ে, লরির তলায় পিষে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র ঘরে ফিরতে চেয়ে। পরিযায়ী শ্রমিকদের এই অবর্ণনীয় দুর্দশার ছবিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীতি আয়োগ কমিটির সিইও অমিতাভ কান্ত। কেন্দ্র–রাজ্য সরকারগুলি প্রথমে গা করেনি বলেই পরিযায়ী সমস্যা এই ঘোরতর আকার নিয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর। তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকার যেখানে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটা বুঝতে হবে যে পরিযায়ী সমস্যা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমরা বছরের পর বছর ধরে এই আইন তৈরি করেছি, যাতে হাজার হাজার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকের জন্ম হয়েছে। এই শ্রমিকদের খেয়াল রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রের এবং রাজ্যগুলির। এক্ষেত্রে আমরা আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারতাম।’ অর্থাৎ দক্ষতার পরিচয় যে দেওয়া যায়নি তা স্পষ্ট হয়ে গেল এই কথায়।
