মধ্য নেপালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পাইলটসহ পাঁচজনের মৃত্যু হল। আরোহীরা চারজনই চীনা নাগরিক। জানা গেছে, এয়ার ডাইনেস্টি হেলিকপ্টারটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে সায়াব্রুবেসির দিকে যাচ্ছিল।
যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে সেই স্থানটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এবং বেশ কয়েকটি ট্র্যাকিং রুটের সূচনা পয়েন্ট বলে পরিচিত।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, উড্ডয়নের তিন মিনিট পরেই হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি রাজধানীর উত্তরে নুওয়াকোট জেলায় বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধারের জন্য দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক আরেকটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ড্যান বাহাদুর কারকি বলেছেন, দুর্ঘটনায় পাইলটসহ আরোহী পাঁচজনের সবাই মারা গেছেন।
অতীতেও বিমান চলাচলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নেপালের একটি দুঃখজনক ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। পাহাড়-পর্বতে বেষ্টিত নেপাল আকাশপথে চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তার ওপর রয়েছে দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার অভিযোগ। এসব কারণে দেশটিতে প্রায়ই প্রাণঘাতী প্লেন ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে।
২০২৩ সালে নেপালে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে একটি মেক্সিকান পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হয়। ২০১৯ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেশটির তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী।
নেপালে সর্বশেষ প্লেন দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হলে ৭২ আরোহীই মারা যায়।
এর আগে ১৯৯২ সালে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের একটি প্লেন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ১৬৭ জন নিহত হয়। এটিই নেপালে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্লেন দুর্ঘটনা।