আধুনিক নারীদেরঘরে-বাইরে সমানভাবে কাজ করতে হয়। ব্যস্ত জীবনে নিজের স্বাস্থ্যেরদিকে ঠিকমত খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু শরীরসুস্থ রাখতে সাস্থ্যকর একটা ডায়েট মেনেচলা উচিত প্রতিটি নারীর, আর কিছু ভিটামিন অবশ্যই সেই ডায়েট চার্টে থাকা দরকার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে এই পাঁচটি ভিটামিন প্রতিটি নারীর জন্য অত্যাবশ্যক।
১। ভিটামিন এ
ভিটামিন এ সব বয়সী নারীদের জন্যপ্রয়োজনীয়। নিয়মিত গ্রহণে এই ভিটামিন দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকেধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, পাকা আম, মিষ্টি কুমড়ো, গাজর, দুধ, মেটে, লাল শাক, বিভিন্ন সবুজ শাক, ছোটমাছে ভিটামিনএ রয়েছে।
২। ভিটামিন ডি
ক্যালসিয়াম,ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সামুদ্রিকমাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে। এটি প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম বা পিএমএস-এর লক্ষণ কমিয়ে দেয়। যাদের দেহে এইভিটামিনের অভাব আছে তাদের হাঁপানির সমস্যা হতে পারে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডিরয়েছে তাই নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলে হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ হয়।
৩। ভিটামিন বি
লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে ভিটামিন বি৬। স্মৃতি হারানোর সমস্যাকমতে সাহায্য করে এই ভিটামিনটি। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার হলো মাছ, মাংস, বিনস, ওটমিল, পালং শাক, ছোলা, কলা, মিষ্টি আলু, কাজুবাদাম ইত্যাদি।
৪। ভিটামিন ই
ভিটামিন ই বয়সবৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ, ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বাদাম, কড লিভার অয়েল, পালং শাক,সূর্যমুখী ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।
৫। ভিটামিন সি
ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি ঘটিয়ে বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। লেবু ও লেবু জাতীয় সব টক ফল এই ভিটামিনের চমৎকার উৎস। কমলা, মুসুম্বি, আঙ্গুর, বাতাবি লেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে।