নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে সংসদে। বুধবার সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংসদভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহেই বিলটি সংসদে আনা হতে পারে। বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় পীড়নের কারণে এদেশে শরণার্থী হিসেবে (হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টান) আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। যদিও বিলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। ধর্মের ভিত্তিতে কেন ওই ভেদাভেদ তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল।
জানা গিয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করতেই ওই বিল আনা হচ্ছে। এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সেই দেশের সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী মানুষরা এদেশে ৬ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। আগে এই সময়সীমা ছিল ১২ বছর। নাগরিকপঞ্জির মতো এই বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম–সহ বেশ কয়েকটি দল। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না বলে সোচ্চার তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা যায়নি। লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলটি খারিজ হয়ে যায়। তখন অসমে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপি’র জোট শরিক এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে নেডা জোটের অন্য দলগুলিও বিলের বিরোধীতা করে।
এই সংশোধনী বিল নিয়ে আপত্তি রয়েছে উত্তরপূর্বের কয়েকটি রাজ্যের। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মন্ত্রী–রাজনৈতিক নেতাদের বোঝাতে একের পর এক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিলটির সারমর্ম বোঝাতে উত্তরপূর্বের নেতাদের সঙ্গে কমপক্ষে ১০০ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন অমিত শাহ।
