RG Kar হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের আজ ‘নবান্ন অভিযান’। মূলত, তিন দফা দাবিকে সামনে রেখে ছাত্র সমাজের এই কর্মসূচি।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে ওই সংগঠনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় নবান্ন অভিযানের যে ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে শুক্রবারই সম্মতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে, ওইদিনই আবার UGC NET পরীক্ষা রয়েছে। ফলে ওইদিন নবান্ন অভিযান হলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের।
এবার নবান্ন অভিযান নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করল কলকাতা পুলিশ। এদিনের বৈঠকে কলকাতা পুলিশের এডিজি মনোজ ভার্মা বলেন, “নবান্ন সংরক্ষিত জায়গা। নবান্ন চত্বরে কোনও রকম কর্মসূচির জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। তবে ২৭ তারিখের সেই অভিযানের জন্য কেউ পুলিশের কাছে অনুমতিই চায়নি। তাই এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা অন্য কোথাও জমায়েত করলে আমরা সাহায্য করব। তবে নবান্নে নয়।”
অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নাম করে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই নামে কোনও সংগঠন নেই। আমরা জানতে পেরেছি, সংগ্রামী যৌথমঞ্চও নাকি এই ছাত্রসমাজের অভিযানে যুক্ত হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তারাও আমাদের কিছু জানায়নি।”
এদিকে, মঙ্গলবার এই নবান্ন অভিযান ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিপন্ন না হয়, সেদিক নজরে রেখে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছেন অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার পুলিশ। জানা গেছে, আজ নবান্ন ঘিরে থাকবে ২১ জন আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। ১৩ জন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। ১৫ জন এডিসিপি বা এসিপি পদমর্যাদার অফিসারও থাকছেন। সেইসঙ্গে থাকছেন ২২ জন এসি বা ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। থাকছেন ২৬ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সহ ২ হাজারের বেশি পুলিশ।
থাকছে র্যাফের ফের বিশেষ বাহিনী। নামানো হচ্ছে জলকামান ও ‘বজ্র’। ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি। যে সমস্ত জায়গায় ছাত্রদের আটকানো হবে সেখানে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট সাতটি জায়গায় থাকছে ব্যারিকেড।