ফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের। দুর্নীতি–সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত আয়কর দপ্তরের ১৫ জন শীর্ষ আধিকারিককে বহিষ্কার করল অর্থ মন্ত্রক। কর দপ্তরে দুর্নীতি বন্ধ এবং কৰ্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ১৫ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর আগে তিন দফায় মোট ৪৯ জন উচ্চপদস্থ কর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। আয়কর সংক্রান্ত নীতি নির্ধারক সংস্থা কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সিবিডিটি) ১২ জন আধিকারিক আছেন। সরকারের ফান্ডামেন্টাল রুলের আওতায় এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই আইনে নন–পারফর্মার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এই তালিকায় যুক্ত হল ১৫ আয়কর আধিকারিকের নাম।
কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নির্দেশে প্রশিক্ষণ এবং কর্মীবর্গ দপ্তরকে প্রত্যেক সরকারি বিভাগের কর্মীদের মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। দুর্নীতি এবং কর্মদক্ষতার অভাবের অভিযোগে গত ১০ জুন প্রথম পদক্ষেপ করেছিল সরকার। তখন এক ডজন দুর্নীতিগ্রস্ত–ফাঁকিবাজ অফিসারকে বহিষ্কার করা হয়। ঠিক এক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় দফায় অপ্রত্যক্ষ কর দপ্তরের ১৫ জন কর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়। তৃতীয় দফায় আরও ২২ জন আধিকারিককে বহিষ্কারের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। এবার চতুর্থ দফায় বাদ গেল ১৫ জন আধিকারিক।