দেশ

দিল্লির ব্যাটারি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড–বিস্ফোরণ

বারবার আগুন লাগছে দিল্লিতে। তারপরও কোনও হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার ফের ভোররাতে পশ্চিম দিল্লির পিরাগরহি এলাকার একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার জেরে ধ্বংস হয়ে যায় কারখানার একটি বড় অংশ। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে পীরাগরহি এলাকার একটি বহুতলে ওই ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার বিভিন্ন অংশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন।
দমকল সূত্রে খবর, হঠাৎ হওয়া বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে একটি অংশ যার তলায় একাধিক দমকলকর্মী–সহ বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। স্থানীয়দের সাহায্যে দ্রুত গতিতে চলছে উদ্ধারের কাজ। আহতদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলার সময় ফের বিস্ফোরণ ঘটে ওই কারখানায়। বিস্ফোরণে ওই কারখানার একাংশ ভেঙে পড়েছে। ওই কারখানার ভেতর দমকলকর্মী–সহ এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার খবর মিলতেই প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাতটি ইঞ্জিন। পরে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় মোট ৩৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানো ও আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তখনই হঠাৎই ভেঙে পড়ে কারখানার একটি অংশ। যার নীচে চাপা পড়েছেন দমকলকর্মী–সহ একাধিক মানুষ। কিভাবে আগুন লাগল তার কারণ জানা যায়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
উল্লেখ্য, গত বছর ৪ নভেম্বর এই এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একটি চারতলা বাড়ির ছাদে থাকা কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। গত ডিসেম্বর মাসে আগুন লাগে কিরারির কাপড়ের গোডাউনে। গুরুতর জখম অবস্থায় ১০ জনকে উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। সেখানে ৯ জনের মৃত্যু হয়। আগুন লেগেছিল দিল্লির মুণ্ডকা এলাকায়। তার আগে আনাজ মান্ডির আগুন কেড়েছিল ৪৩ জনের প্রাণ। আনাজ মান্ডিতে আগুন লাগা বাড়িতেই ছিল ব্যাগ তৈরির কারখানা। এমনকী সম্প্রতি আগুন লেগেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও।