জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর দিল্লির ওয়াজিরাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলেও খবর। এদিকে উত্তরবঙ্গে গা ঢাকা দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে ইসলামিক স্টেটের চার সন্ত্রাসবাদী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই রিপোর্টই পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। চার জঙ্গির মধ্যে অন্যতম মহম্মদ খোয়াজা। আইএসের লিংকম্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে সে। সিরিয়ায় যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিল খোয়াজা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্তরা। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। পরে ৩ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে তাদের কী পরিকল্পনা ছিল, তা জানতে জেরা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সিরিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের সঙ্গে যোগ রয়েছে ধৃতদের। ধৃতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে এক হিন্দুত্ববাদী নেতার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছে চার আইএস জঙ্গি–মহম্মদ খোয়াজা, আবদুল সামাদ, আবদুল শামিম এবং নওয়াজ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সিরিয়ায় যুদ্ধ করেছিল খোয়াজা। গতবছর ১৪ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুতে শেষ দেখা গিয়েছিল এই চার জঙ্গিদের। তারপর উত্তরবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
২৬ জানুয়ারির আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাতেই পুলিশি টহল বেড়েছে। এমন সময়ে আইএস সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০১৮ সালেও একইভাবে আইএসের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে একাধিক গ্রেপ্তারি হয়েছিল। তখন মোট ১৬ জায়গায় হানা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সালে হাওড়া থেকে বর্ধমান যাওয়ার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইএস জঙ্গিকে মুসা ওরফে মুসাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। মুসাকে আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল খোয়াজাই। দক্ষিণ ভারতে আইএসের বিস্তারের দায়িত্বে ছিল খোয়াজা। বাংলাদেশের নব্য জেএমবি’র সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে জাল বিস্তারের কাজ করছিল সে।