ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে এক দাম। আর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বাজারে ঢুকলে তাঁদের সামনে বলা হচ্ছে আর এক দাম। গত কয়েকদিন কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমনটাই অভিজ্ঞতা টাস্কফোর্সের। তাই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে প্রত্যেকদিনের সবজির দাম দোকানে বাধ্যতামূলকভাবে লিখে রাখতে হবে বিক্রেতাদের। স্লেটে তার ওপর চক দিয়ে দাম দিনে লিখে রাখতে হবে। পুলিশ প্রত্যেকদিন সেই দাম পর্যবেক্ষণ করবে। বেনিয়ম দেখলে বিক্রেতাকে জরিমানা এবং গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ পেঁয়াজের জোগান নেই। তবে মঙ্গলবার দিন নাসিকের পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ টাকা। তা হাত ঘুরে শহরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। নাসিকের বাজারে আজ পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। যদি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সেখানকার পেঁয়াজ এই রাজ্যে ঢোকে, তাহলে তা ৭০ বা ৭৫ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। অর্থাৎ দাম কিছুটা কমবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এই সময় পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা। কিন্তু পেঁয়াজের জোগান কম বলে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। খুচরো বাজারে বড় মাপের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিকোচ্ছে। আর ছোট মাপের পেঁয়াজ (যা বেশির ভাগ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে) ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। যদি কর্নাটক ও রাজস্থান থেকে রাজ্য সরকার তার পূর্ব পরিকল্পনা মতো আড়াই লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে সক্ষম হয়, তাহলে সেই দাম আরও কমবে। তবে তা দিন ১৫-র আগে নয়। রাজ্য সরকারের সুফল বাংলা স্টলে বৃহস্পতিবার ৭৫ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনে তা ভর্তুকি দিয়ে ৫৯ টাকায় বিক্রি করছে।