আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা শুরু হল রাজ্যে। নিম্নচাপের মেঘ কাটতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনও এমনই থাকবে। হাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকায় দুপুরের দিকে মাঝেমধ্যে হালকা ঘামও হতে পারে। তবে সূর্যাস্তের পর ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। রাতের হালকা হিমেল আমেজ থাকবে। আবার আগামী ৩ নভেম্বর মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আর তা হতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য। মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। কারণ ফিলিপিনস উপকূলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। থাইল্যান্ডের উপকূলবর্তী সমুদ্র হয়ে সেটি মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়বে। এমনকী আগামী ৬–৭ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান সাগর হয়ে ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পৌঁছতে পারে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের মেঘ সরতেই ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। ফলে কিছুটা কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আরও কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। কিন্তু ওই দিনও আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সোমবার থেকে আকাশের মেঘমুক্তি ঘটেছে। যার ফলে সকাল থেকে হালকা উত্তুরে হাওয়া অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। জেলায় এই তাপমাত্রা থাকবে আর একটু কম। আর্দ্রতা কমতে শুরু করলে কয়েকদিন পর রাতের তাপমাত্রা একটু একটু করে কমবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এই বুলবুলের জেরে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে নভেম্বরেই কুড়ির নীচে চলে যেতে পারে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি ছিল। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জায়গায় গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে।