এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে তিনে তিন হতে চলেছে ঘাসফুলের। কারণ উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। খড়্গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জে পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। সকালে খড়্গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে এগিয়েছিল তারা। কিন্তু দুটি কেন্দ্রেই এখন পিছিয়ে পড়েছেন দিলীপ ঘোষরা। করিমপুরে প্রায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। খড়্গপুরে হারের মুখে বিজেপি। কালিয়াগঞ্জে সপ্তম রাউন্ডে ৩২০৪ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ। খড়্গপুরে ৭ম রাউন্ড শেষে ১১,৮৯৩ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। করিমপুরেও অনেক এগিয়ে তৃণমূল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে করিমপুরে জিতেছিল তৃণমূল। খড়গপুর সদরে বিজেপি এবং কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের সমীকরণে অবশ্য বদল হয়। খড়্গপুর সদরে দিলীপ ঘোষের গড়েও তৃণমূল এগিয়ে গিয়েছে। ১১৮৯৩ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার।
করিমপুরে তৃতীয় স্থানে চলে গেলেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিএম। নিকটবর্তী প্রার্থীর চেয়ে করিমপুরে ২৭৭৫১ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আর কালিয়াগঞ্জে সকাল থেকে লিড ধরে রাখছিল বিজেপি। কিন্তু সপ্তম রাউন্ডে পাল্টে গেল সমীকরণ। সপ্তম রাউন্ড শেষে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ। ৩,২০৪ ভোটে পেছনে পড়ে গিয়েছে বিজেপি’র কমলচন্দ্র সরকার।
যদিও বিজেপি নেতা মুকুল রায় যদিও দাবি করেছেন, তিনটি আসনেই জিততে চলেছে বিজেপি। তবে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, বিজেপি নেতাদের মতো জ্যোতিষ নই আমি। মানুষের ওপর আস্থা রয়েছে। তাঁরাই তাঁদের জনমত জানাবেন।