মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ডেও জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। এনআরসি, সিএএ কোনও প্রভাবই নেই। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে গণনার ফলাফলের প্রবণতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল কংগ্রেস–জেএমএম জোট। সোমবার ভোট গণনার শুরু থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়। কিন্তু বেলা যত গড়ায় ততই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত। ওই রাজ্যের বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। আর সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১। যাদু সংখ্যা পেরিয়ে এগিয়ে যায় জোট। ফলে মানচিত্রে আরও ফিকে হল গেরুয়া রং বলে মনে করা হচ্ছে।
ম্যাজিক ফিগার পার করে ৪২ আসনে এগিয়ে গেল কংগ্রেস–জেএমএম জোট। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৮ আসনে। অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ৪ এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা এগিয়ে করেছে ৩ আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে ৪ আসনে। ফলে এজেএসইউ–জেভিএমের সঙ্গে বিজেপি’র সরকার গঠনের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীন হয়ে যায়। তখনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা যায়। কোথাও চলে মিষ্টিমুখ, আবার কোথাও বাজি পোড়ানো। জয় ধরে নিয়েই অনেক জায়গায় উৎসবে মেতে উঠেছেন কংগ্রেস–জেএমএম সমর্থকরা। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশির ভাগই এবার বিজেপি’র থেকে কংগ্রেস–জেএমএম এবং আরজেডি জোটকেই এগিয়ে রেখেছিল। আরও হলও তাই।
কাশ্মীর, নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে ঝড়ে তুলেছিল বিজেপি। কিন্তু জাতীয় কোনও ইস্যুই সেভাবে কাজে এল না এখানে। বরং আঞ্চলিক ইস্যু প্রাধান্য পায়। যার ফলে অনুন্নয়নেরই ফল পেয়েছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
