জ্যোতি কাণ্ডের ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়নি। তার মধ্যেই সচিন কাণ্ড কপালে ভাঁজ ফেলে দিল। কারণ টুইটটি করেছেন সচিন পাইলট। এটাই কংগ্রেসের অস্বস্তির অন্যতম কারণ। কংগ্রেসের মধ্যে এখন নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব চরমে। যার খেসারত দিতে হল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগকে মেনে নিয়ে। নবীন নেতাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বলে কথা উঠেছে দলের মধ্যে। তারই মধ্যে টুইটে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন সচিন পাইলট।
কী লিখেছেন সচিন? রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কংগ্রেস ছাড়তে দেখা দুর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয় দলের মধ্যে সবার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া যেত।’ জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছাড়ার পর এবার রাজনৈতিক মহলের নজর সচিনের দিকে। কারণ তিনি সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ এবং তরুণ তুর্কি নেতা। জ্যোতিরাদিত্যের পথ সচিন অনুসরণ করতে পারেন এমনও গুঞ্জন রয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিনের সম্পর্ক বিশেষ মধুর নয়। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে দূরত্ব দলেই আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যেত বলে কি সচিন এটাই বোঝাতে চাইলেন যে কংগ্রেসে এখন আলোচনার পরিবেশ নেই? নাকি তিনি কোনও আলোচনা চাইছেন? সেটা পরবর্তী সময়ই বলবে।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর দলে জ্যোতিরাদিত্য এবং সচিনের গুরুত্ব বেড়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর রাহুল পদত্যাগ করায় ফের প্রবীণ নেতারা গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। আর সেটাই নবীন–প্রবীণের সংঘাতের সূত্রপাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
