মেঘনা–সহ কয়েকটি নদীতে গত এক সপ্তাহে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। কনকনে ঠান্ডায় এত ইলিশ ওঠায় অবাক মৎস্যজীবীরাও। স্বাভাবিকভাবেই বরিশাল অঞ্চলের সবথেকে বড় তিনটি ইলিশের আড়তে কেনাবেচার ধুম পড়েছে। প্রচুর ইলিশের জোগান থাকায় দামও কমেছে। তাতে খুশি ক্রেতারা।
বেশিরভাগ ইলিশের ওজন প্রায় এক কেজি। শীতের সময় মেঘনায় এত ইলিশ ধরা পড়া নজিরবিহীন। বরিশালের বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে খবর, ইলিশের প্রজনন মরশুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় সাগর ও নদীতে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে শীতেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।
বরিশাল পোর্ট রোডের আড়তদাররা জানিয়েছেন, গত ৫–৭ বছরে শীতের সময় গড়ে ৬০ মনের মতো ইলিশ আমদানি হত। সেখানে গত এক সপ্তাহে ইলিশ আমদানি আশাতীত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার আমদানি হয়েছে ২৮০ মন। শুক্রবার প্রায় ৩০০ মন।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মন প্রতি বিক্রি হয়েছে ৩২ হাজার টাকায়। সেই হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৮০০ টাকা। রপ্তানিযোগ্য এলসি আকারের (৭০০–৯০০ গ্রাম) ইলিশের দাম মন প্রতি ২৬ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি কেজি ইলিশের পাইকারি দাম পড়েছে ৬৫০ টাকা। বরিশাল পোর্ট রোড আড়তে আমদানি হওয়া বেশিরভাগ ইলিশই মেঘনা নদীর। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের দাম পাইকারি ও খুচরো বাজারে কমের দিকে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর শীতের সময় নদীতে খুব একটা ইলিশ পাওয়া যেত না। তবে গত ৮–১০ দিনে জালে প্রচুর ইলিশ উঠছে। সুতোর তৈরি বড় ফাঁকা জাল দিয়েই ইলিশ ধরা যাচ্ছে। পর পর জাল তুললেই ৫–১০ হাজার টাকার মাছ পাওয়া যাচ্ছে।